জন্ম নেওয়ার পরের এক বছর শিশুর প্রতি অতিরিক্ত যত্নবান হওয়াটা খুব জরুরি। কারণ কি জানেন? এই ১২ মাসে বাচ্চা হামাগুড়ি দিতে শেখে, অল্প অল্প হ...
জন্ম নেওয়ার পরের এক বছর শিশুর প্রতি অতিরিক্ত যত্নবান হওয়াটা খুব
জরুরি। কারণ কি জানেন? এই ১২ মাসে বাচ্চা হামাগুড়ি দিতে শেখে, অল্প অল্প
হাঁটতে শেখে, কথাও ফোটে তার মুখে। শুধু কী তাই, এই সময় অনেক কিছু চিনতেও
শুরু করে আপনার ছোট্ট সোনাটা।
প্রথম এক বছর বাচ্চার মস্তিষ্ক দারুন গতিতে পরিণত হয়। তাই এই সময় বাচ্চার
সঙ্গে তার বাবা-মার যতটা সম্ভব বেশি সময় কাটানো উচিত বলে মনে করেন
চিকিৎসকেরা।
এবার আমরা জানতে চলেছি প্রথম এক বছরে বাচ্চার শারীরিক অগ্রগতি কেমনভাবে হয়।
প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখাটা জরুরি যে সব বাচ্চাই কিন্তু
এই গতিতে বড় হয় না।
প্রথম কিছু দিন:
জন্মের প্রথম কয়েকদিন বাচ্চা শুধু কান্না, হেঁচকি এবং হাঁচির মাধ্য়মে
বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে থাকে। আর এই সময় নবজাতক কেবল মাত্র
১০-১২ ইঞ্চি পর্যন্ত দেখতে পারে। এর বেশি দূরত্ব দেখার মতো ক্ষমতা তাদের
তখনও তৈরি হয় না।
মাস-১:
প্রথম মাসটা শেষ হতে না হতেই বাচ্চা শুনতে শুরু করে। তাই তো এই সময় তারা পরিচিত আওয়াজ শুনলেই নড়ে ওঠে।
মাস-২:
এতদিনে এরা আঙুল চুসতে শুরু করে দেয়। সেই সঙ্গে দৃষ্টি শক্তিও ধীরে ধীরে ভালো হতে শুরু করে।
মাস-৩:
তৃতীয় মাসে নবজাতক কাছের মানুষদের আস্তে আস্তে চিনতে শুরু করার পাশাপাশি নানা ধরনের অঙ্গভঙ্গিও করাও শিখে যায়।
মাস-৪, ৫ এবং ৬:
এই সময় বাচ্চার দাঁত উঠতে শুরু করে। আর পাঁচ মাস যেতে না যেতেই শিশুর মধ্য়ে
জিনিসপত্র ধরার এবং সেগুলিকে অনুভব করার ক্ষমতা জন্মায়। ছয় মাসে একটা
দারুন ঘটনা ঘটে। এই সময় বাচ্চা নিজে থেকে উঠে বসতে শেখে।
মাস-৭:
কাউকে ধরে দাঁড়াতে পারার পাশাপাশি এই সময় থেকেই বাচ্চার দৃষ্টিশক্তি একেবারে স্বাভাবিক হয়ে যায়।
মাস-৮:
অষ্টম মাসে ঘুম থেকে উঠে নিজে থেকে বসা এবং হামাগুড়ি দিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরতে শিখে যায় বাচ্চারা।
মাস ৯ এবং ১০:
এই সময় থেকেই আস্তে আস্তে নানা কিছু শিখতে শুরু করে বাচ্চারা। শুধু তাই নয়, ৯ মাসের পর থেকেই খেলনার প্রতি ভালোবাসা জন্মায় ছোটদের।
মাস-১১ এবং ১২:
এগারো মাস যেতে না যেতেই বাচ্চা হাঁটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে অল্প বিস্তর কথা বলার ক্ষমতাও জন্মে যায়।
COMMENTS