গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে এই নিয়ে হবু বাবা-মা থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দিনরাত চলে নানা জল্পনা-কল্পনা। গর্ভের সন্তান ছেলে না ...
গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে এই নিয়ে হবু বাবা-মা থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দিনরাত চলে নানা জল্পনা-কল্পনা। গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা নির্ণয়ের বেশ কিছু ধারনা এখনো আমাদের সমাজে প্রচলিত এবং খুব আশ্চর্যের বিষয় বিজ্ঞানের এ সময়ে এসেও অনেকেই তা বিশ্বাস করে চলেছেন।
অনেকেই হয়তো বলবেন প্রচলিত এ ধারনাগুলো অমুকের ক্ষেত্রে মিলে গিয়েছিল। কিন্তু একটু চিন্তা করলেই বুঝবেন আপনার গর্ভের সন্তান হয় ছেলে হবে নাহয় মেয়ে। অর্থাৎ আপনি যেটাই ভবিষ্যৎবানী করেন না কেন তা ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ ভাগ। এর মানে হোল প্রচলিত এসব ধারনা থেকে আপনার গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নিয়ে যে সব ভবিষৎবাণী করা হয় তার ৫০ ভাগই মিলে যেতে পারে। আর যেসব ক্ষেত্রে এসব মিলে যায় সেগুলো অনেকবেশি লোক জানাজানি হয়। ফলে এগুলো আরও বেশী শক্তভাবে আমাদের মনে গেঁড়ে বসে।
অনেকে বলেন, যদি হবু মায়ের গর্ভ বেশি স্ফীত হয়, তাহলে তার ছেলে হবে। আর যদি গর্ভের মধ্যবর্তী জায়গা বেশি প্রশস্ত হয়, তাহলে হবে মেয়ে। এমনকি অনেকে এটাও বলেন, যদি মা সকালে বেশি বমি করেন বা তার মাথা ঘোরে, তাহলে তিনি মেয়ে-সন্তানের মা হবেন। আর যদি সকালের দিকে তিনি মোটামুটি সুস্থ থাকেন, তাহলে তাঁর হবে ছেলে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এসবই ভুল ধারণা। লোকমুখে প্রচলিত এসব ধারণার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
এমনি কিছু প্রচলিত ধারনা এবং তার পেছনে বৈজ্ঞানিক যুক্তি নিয়ে আজকের আলোচনা।
পেটের অবস্থান
প্রচলিত ধারনাঃ পেটের অবস্থা দেখে অনেকটা অনুমান করা যায় আপনার সন্তানটি ছেলে হবে কিনা। আপনার পেটটি নিচের দিকে ঝুঁকে থাকলে বুঝতে হবে আপনার গর্ভের সন্তানটি ছেলে। আর তা যদি মাঝের দিকে বা উপরের দিকে মোটা হয় তবে মেয়ে হবে।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ মায়ের পেটের আকার কেমন হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে মায়ের শরীরের ধরন, গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধি, মায়ের পেলভিসে সন্তানের অবস্থান এবং আরও কিছু শারীরিক ফ্যাক্টরের উপর। অনেক ক্ষেত্রেই শোনা যায় যেহেতু ছেলে শিশুর পেনিস থাকে এবং সে কারণে ছেলে শিশু মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা বেশী আকৃষ্ট হয় এবং নীচের দিকে নেমে যায়। এটাও ভুল ব্যাখ্যা। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে বাচ্চার আকার যদি ছোট হয় তবে তার অবস্থান মায়ের পেলভিসের নীচের দিকে থাকে এবং বাচ্চার আকার যদি বড় হয় তবে তার অবস্থান উপরের দিকে থাকে। এর সাথের শিশুর যৌনাঙ্গের কোন সম্পর্ক নেই।
এছাড়াও প্রথম বার গর্ভধারণের সময় বেশীর ভাগ মায়েরই শারীরিক গঠন ভালো থাকে এসময় মায়ের পাকস্থলীর মাংশপেশী অনেকটা দৃঢ় থাকে। ফলে প্রথমবার গর্ভধারণে শিশু উপরের দিকে থাকতে পারে। প্রতিবার গর্ভধারণের সাথে সাথে পাকস্থলীর মাংশপেশী নমনীয় হতে থাকে যাতে পরের গর্ভধারণে বাচ্চার অবস্থান নীচের দিকে নেমে যেতে পারে।
গর্ভের শিশুর হার্ট রেট
প্রচলিত ধারনাঃ হৃদস্পন্দন যদি 140 BPM এর বেশি অথবা সমান হয়, তাহলে শিশুটি মেয়ে। আর যদি হৃদস্পন্দনের রেট 140 BPM এর কম হয়, তাহলে গর্ভস্থ শিশুটি ছেলে হবে।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ এটিও একটি ভুল ধারনা কারণ প্রথম ট্রামেস্টারে বাচ্চার লিঙ্গ হার্ট রেটের উপর কোন প্রভাব ফেলেনা। ২৮-৩০ সপ্তাহ পর্যন্ত সব শিশুরই হার্ট রেট বেশী থাকে। গর্ভাবস্থার পঞ্চম সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভের শিশুর হার্ট রেট থাকে অনেকটা মায়ের কাছাকাছি ৮০-৮৫ BPM। নবম সপ্তাহ পর্যন্ত তা বাড়তে থাকে এবং ১৭০-২০০ BPM পর্যন্ত পৌছাতে পারে। এরপর তা কমে গর্ভাবস্থার মাঝামাঝি সময়ে ১২০-১৬০ BPM এ থাকে।
এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর বাচ্চার হার্ট বিট নির্ভর করে তা হোল গর্ভে বাচ্চার নড়াচড়া। বাচ্চা যত অ্যাকটিভ থাকবে তার হার্ট বিট ও তত বেশী হবে। তবে গর্ভাবস্থার একেবারে শেষের দিকে গর্ভের শিশুর লিঙ্গের উপর নির্ভর করে হার্ট বিট বেশী বা কম থাকতে পারে। ১৯৯৯ সালে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে ঠিক প্রসবের আগে মেয়ে শিশুর হার্ট বিট ছেলে শিশুর চাইতে বেশী থাকে।
মায়ের খাবারের প্রতি আকর্ষণ
প্রচলিত ধারনাঃ মায়ের যদি মিষ্টি বা চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হয়, তাহলে সম্ভবত মেয়ে হবে ।আর গর্ভে যদি ছেলে সন্তান থাকে তবে টক বা লবণাক্ত খাবার বেশি খেতে ইচ্ছা করবে।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ আপনার গর্ভের সন্তান হয়তো বড় হয়ে মিষ্টি খেতে পছন্দ করবে কিন্তু গর্ভে থাকা অবস্তায় সে কখনো মায়ের খাবারের উপর প্রভাব বিস্তার করেনা। মায়ের কি খেতে ইচ্ছে করবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে মায়ের শারীরিক এবং মানসিক প্রয়জনের উপর। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে মায়ের শরীরে কোন পুষ্টির ঘাটতি হলে তা পুষিয়ে নেয়ার জন্য মায়ের কিছু কিছু খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় মায়ের অতিরিক্ত গন্ধপ্রবন হয়ে ওঠাও মায়ের খাদ্যাভ্যাসকে প্রভাবিত করতে পারে।
মর্নিং সিকনেস
প্রচলিত ধারনাঃ যদি আপনার সকালবেলা বমি বমি ভাব কম অনুভূত হয় অথবা মর্নিং সিকনেস কম হয়ে থাকে তবে ছেলে সন্তান হবার সম্ভাবনা রয়েছে।আর যদি তা বেশী হয় তবে মেয়ে।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ এই ধারনা আংশিকভাবে সত্যি হতে পারে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মায়েরা অতিরিক্ত মর্নিং সিকনেসে ভোগেন যা hyperemesis gravidarum নামে পরিচিত, সেসব মায়েদের মেয়ে সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা বেশী।এর কারণ হোল, গর্ভাবস্থায় যে হরমোনের কারণে মর্নিং সিকনেস হয় তার মাত্রা মেয়ে শিশুর বেলায় মায়ের শরীরে বেশী থাকে।
কিন্তু ছেলে শিশুর বেলায়ও মায়ের মর্নিং সিকনেস হওয়ার এবং তা মারাত্মক আকার ধারন করার উদাহরন আচ্ছে। তাই এই ধারনাকেও পুরোপুরি সঠিক বলে ধরে নেয়া যায়না।
ব্রণের প্রকাপ
প্রচলিত ধারনাঃ গর্ভাবস্থায় আপনার ত্বকে কি ব্রণ বা অন্য কোন সমস্যা হচ্ছে, যা আপনার সৌন্দর্য নষ্ট করছে? তাহলে অবশ্যই আপনার মেয়ে হবে। আগের দিনের মানুষ বলত, মেয়ে শিশুরা মায়ের সৌন্দর্য চুরি করে, তাই মায়ের চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের হরমোনাল পরিবর্তন অনেক বেশি হয়ে থাকে। যার কারণে শরীরের নানা সমস্যা দেখা দেয়। ব্রণ তাদের মধ্যে অন্যতম। তাই শরীরে ব্রণের প্রকোপ হওয়া না হওয়া নির্ভর করে মায়ের শরীরের হরমোনের পরিবর্তন এবং মাত্রার উপর। এর সাথে বাচ্চার লিঙ্গের কোন সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।
কালো দাগ লিনিয়া নিগ্রা
প্রচলিত ধারনাঃ কালো দাগ লিনিয়া নিগ্রা ,যেটা আপনার তলপেটের নিচের দিক থেকে নাভি অবধি যায় সেটা দেখা যায় যদি আপনার কন্যা সন্তান পেটে হয়।যদি সেই দাগটি গর্ভাবস্থার শেষের দিকে মিলিয়ে যায়,আশা করতে পারেন যে ছেলে সন্তান হতে চলেছে।অন্য মতে – দাগটি যদি তলপেটের নিচের দিক থেকে শুরু করে পাঁজর অবধি আসে, তাহলে আপনার গর্ভে ছেলে সন্তান আশা করতে পারেন।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ এই ধারনার সপক্ষেও কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। কালো দাগ লিনিয়া নিগ্রা নির্ভর করে মায়ের ত্বকের ধরন এবং হরমোনের উপর।
তবে প্রচলিত এসব কথাবার্তার মধ্যে একটি বিষয় কিছুটা বিশ্বাসযোগ্য। সেটি হলো যদি সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় মায়ের কষ্ট বেশি হয়, তাহলে ছেলে-সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর যদি প্রসবে কষ্ট কম হয়, তাহলে সন্তানটি মেয়ে হতে পারে। আইরিশ একটি গবেষণায় এর কিছুটা সত্যতা খুঁজে পাওয়া গেছে। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সময়ে ডাবলিন হাসপাতালে আট হাজার শিশুর জন্মগ্রহণ-প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন গবেষকেরা। তবে এরও ব্যতিক্রম হবে না, তা নয়। মেয়েশিশু প্রসব করার সময়ও মায়ের অনেক বেশি কষ্ট হতে পারে। মেয়েশিশুর বেলাতেও অনেক বেশি প্রসব যন্ত্রণা ভোগ করতে হতে পারে মাকে।
অনেকে বলেন, যদি হবু মায়ের গর্ভ বেশি স্ফীত হয়, তাহলে তার ছেলে হবে। আর যদি গর্ভের মধ্যবর্তী জায়গা বেশি প্রশস্ত হয়, তাহলে হবে মেয়ে। এমনকি অনেকে এটাও বলেন, যদি মা সকালে বেশি বমি করেন বা তার মাথা ঘোরে, তাহলে তিনি মেয়ে-সন্তানের মা হবেন। আর যদি সকালের দিকে তিনি মোটামুটি সুস্থ থাকেন, তাহলে তাঁর হবে ছেলে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এসবই ভুল ধারণা। লোকমুখে প্রচলিত এসব ধারণার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
এমনি কিছু প্রচলিত ধারনা এবং তার পেছনে বৈজ্ঞানিক যুক্তি নিয়ে আজকের আলোচনা।
পেটের অবস্থান
প্রচলিত ধারনাঃ পেটের অবস্থা দেখে অনেকটা অনুমান করা যায় আপনার সন্তানটি ছেলে হবে কিনা। আপনার পেটটি নিচের দিকে ঝুঁকে থাকলে বুঝতে হবে আপনার গর্ভের সন্তানটি ছেলে। আর তা যদি মাঝের দিকে বা উপরের দিকে মোটা হয় তবে মেয়ে হবে।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ মায়ের পেটের আকার কেমন হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে মায়ের শরীরের ধরন, গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধি, মায়ের পেলভিসে সন্তানের অবস্থান এবং আরও কিছু শারীরিক ফ্যাক্টরের উপর। অনেক ক্ষেত্রেই শোনা যায় যেহেতু ছেলে শিশুর পেনিস থাকে এবং সে কারণে ছেলে শিশু মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা বেশী আকৃষ্ট হয় এবং নীচের দিকে নেমে যায়। এটাও ভুল ব্যাখ্যা। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে বাচ্চার আকার যদি ছোট হয় তবে তার অবস্থান মায়ের পেলভিসের নীচের দিকে থাকে এবং বাচ্চার আকার যদি বড় হয় তবে তার অবস্থান উপরের দিকে থাকে। এর সাথের শিশুর যৌনাঙ্গের কোন সম্পর্ক নেই।
এছাড়াও প্রথম বার গর্ভধারণের সময় বেশীর ভাগ মায়েরই শারীরিক গঠন ভালো থাকে এসময় মায়ের পাকস্থলীর মাংশপেশী অনেকটা দৃঢ় থাকে। ফলে প্রথমবার গর্ভধারণে শিশু উপরের দিকে থাকতে পারে। প্রতিবার গর্ভধারণের সাথে সাথে পাকস্থলীর মাংশপেশী নমনীয় হতে থাকে যাতে পরের গর্ভধারণে বাচ্চার অবস্থান নীচের দিকে নেমে যেতে পারে।
গর্ভের শিশুর হার্ট রেট
প্রচলিত ধারনাঃ হৃদস্পন্দন যদি 140 BPM এর বেশি অথবা সমান হয়, তাহলে শিশুটি মেয়ে। আর যদি হৃদস্পন্দনের রেট 140 BPM এর কম হয়, তাহলে গর্ভস্থ শিশুটি ছেলে হবে।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ এটিও একটি ভুল ধারনা কারণ প্রথম ট্রামেস্টারে বাচ্চার লিঙ্গ হার্ট রেটের উপর কোন প্রভাব ফেলেনা। ২৮-৩০ সপ্তাহ পর্যন্ত সব শিশুরই হার্ট রেট বেশী থাকে। গর্ভাবস্থার পঞ্চম সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভের শিশুর হার্ট রেট থাকে অনেকটা মায়ের কাছাকাছি ৮০-৮৫ BPM। নবম সপ্তাহ পর্যন্ত তা বাড়তে থাকে এবং ১৭০-২০০ BPM পর্যন্ত পৌছাতে পারে। এরপর তা কমে গর্ভাবস্থার মাঝামাঝি সময়ে ১২০-১৬০ BPM এ থাকে।
এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর বাচ্চার হার্ট বিট নির্ভর করে তা হোল গর্ভে বাচ্চার নড়াচড়া। বাচ্চা যত অ্যাকটিভ থাকবে তার হার্ট বিট ও তত বেশী হবে। তবে গর্ভাবস্থার একেবারে শেষের দিকে গর্ভের শিশুর লিঙ্গের উপর নির্ভর করে হার্ট বিট বেশী বা কম থাকতে পারে। ১৯৯৯ সালে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে ঠিক প্রসবের আগে মেয়ে শিশুর হার্ট বিট ছেলে শিশুর চাইতে বেশী থাকে।
মায়ের খাবারের প্রতি আকর্ষণ
প্রচলিত ধারনাঃ মায়ের যদি মিষ্টি বা চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হয়, তাহলে সম্ভবত মেয়ে হবে ।আর গর্ভে যদি ছেলে সন্তান থাকে তবে টক বা লবণাক্ত খাবার বেশি খেতে ইচ্ছা করবে।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ আপনার গর্ভের সন্তান হয়তো বড় হয়ে মিষ্টি খেতে পছন্দ করবে কিন্তু গর্ভে থাকা অবস্তায় সে কখনো মায়ের খাবারের উপর প্রভাব বিস্তার করেনা। মায়ের কি খেতে ইচ্ছে করবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে মায়ের শারীরিক এবং মানসিক প্রয়জনের উপর। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে মায়ের শরীরে কোন পুষ্টির ঘাটতি হলে তা পুষিয়ে নেয়ার জন্য মায়ের কিছু কিছু খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় মায়ের অতিরিক্ত গন্ধপ্রবন হয়ে ওঠাও মায়ের খাদ্যাভ্যাসকে প্রভাবিত করতে পারে।
মর্নিং সিকনেস
প্রচলিত ধারনাঃ যদি আপনার সকালবেলা বমি বমি ভাব কম অনুভূত হয় অথবা মর্নিং সিকনেস কম হয়ে থাকে তবে ছেলে সন্তান হবার সম্ভাবনা রয়েছে।আর যদি তা বেশী হয় তবে মেয়ে।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ এই ধারনা আংশিকভাবে সত্যি হতে পারে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মায়েরা অতিরিক্ত মর্নিং সিকনেসে ভোগেন যা hyperemesis gravidarum নামে পরিচিত, সেসব মায়েদের মেয়ে সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা বেশী।এর কারণ হোল, গর্ভাবস্থায় যে হরমোনের কারণে মর্নিং সিকনেস হয় তার মাত্রা মেয়ে শিশুর বেলায় মায়ের শরীরে বেশী থাকে।
কিন্তু ছেলে শিশুর বেলায়ও মায়ের মর্নিং সিকনেস হওয়ার এবং তা মারাত্মক আকার ধারন করার উদাহরন আচ্ছে। তাই এই ধারনাকেও পুরোপুরি সঠিক বলে ধরে নেয়া যায়না।
ব্রণের প্রকাপ
প্রচলিত ধারনাঃ গর্ভাবস্থায় আপনার ত্বকে কি ব্রণ বা অন্য কোন সমস্যা হচ্ছে, যা আপনার সৌন্দর্য নষ্ট করছে? তাহলে অবশ্যই আপনার মেয়ে হবে। আগের দিনের মানুষ বলত, মেয়ে শিশুরা মায়ের সৌন্দর্য চুরি করে, তাই মায়ের চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের হরমোনাল পরিবর্তন অনেক বেশি হয়ে থাকে। যার কারণে শরীরের নানা সমস্যা দেখা দেয়। ব্রণ তাদের মধ্যে অন্যতম। তাই শরীরে ব্রণের প্রকোপ হওয়া না হওয়া নির্ভর করে মায়ের শরীরের হরমোনের পরিবর্তন এবং মাত্রার উপর। এর সাথে বাচ্চার লিঙ্গের কোন সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।
কালো দাগ লিনিয়া নিগ্রা
প্রচলিত ধারনাঃ কালো দাগ লিনিয়া নিগ্রা ,যেটা আপনার তলপেটের নিচের দিক থেকে নাভি অবধি যায় সেটা দেখা যায় যদি আপনার কন্যা সন্তান পেটে হয়।যদি সেই দাগটি গর্ভাবস্থার শেষের দিকে মিলিয়ে যায়,আশা করতে পারেন যে ছেলে সন্তান হতে চলেছে।অন্য মতে – দাগটি যদি তলপেটের নিচের দিক থেকে শুরু করে পাঁজর অবধি আসে, তাহলে আপনার গর্ভে ছেলে সন্তান আশা করতে পারেন।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ এই ধারনার সপক্ষেও কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। কালো দাগ লিনিয়া নিগ্রা নির্ভর করে মায়ের ত্বকের ধরন এবং হরমোনের উপর।
তবে প্রচলিত এসব কথাবার্তার মধ্যে একটি বিষয় কিছুটা বিশ্বাসযোগ্য। সেটি হলো যদি সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় মায়ের কষ্ট বেশি হয়, তাহলে ছেলে-সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর যদি প্রসবে কষ্ট কম হয়, তাহলে সন্তানটি মেয়ে হতে পারে। আইরিশ একটি গবেষণায় এর কিছুটা সত্যতা খুঁজে পাওয়া গেছে। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সময়ে ডাবলিন হাসপাতালে আট হাজার শিশুর জন্মগ্রহণ-প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন গবেষকেরা। তবে এরও ব্যতিক্রম হবে না, তা নয়। মেয়েশিশু প্রসব করার সময়ও মায়ের অনেক বেশি কষ্ট হতে পারে। মেয়েশিশুর বেলাতেও অনেক বেশি প্রসব যন্ত্রণা ভোগ করতে হতে পারে মাকে।
COMMENTS