কোলেস্টেরল কী? কোলেস্টেরল এক ধরনের মেদ যা কোষের মেমব্রেন তৈরি ও দেখভাল করার পাশাপাশি আরও নানা জরুরি কাজকর্ম করে৷ দৈনিক শারীরবৃত্তীয় কাজকর...
কোলেস্টেরল কী?কোলেস্টেরল এক ধরনের মেদ যা কোষের
মেমব্রেন তৈরি ও দেখভাল করার পাশাপাশি আরও নানা জরুরি কাজকর্ম করে৷ দৈনিক
শারীরবৃত্তীয় কাজকর্মের জন্য শরীরের যতটা কোলেস্টেরল প্রয়োজন, ততটা
স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়ে যায়৷ তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন না করলে কিন্তু
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাধিক্য হয় এবং সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন৷ তাই সময়
থাকতে সচেতন হোন৷
গ্রিন টি পান করুন নিয়মিতপরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, চিনিছাড়া গ্রিন টি হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন তৈরির প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করতে পারে৷ এই ‘ভালো’ বা ‘বন্ধু’ কোলেস্টেরল স্বাস্থ্যরক্ষায় একান্ত কার্যকর, তাই দিনে অন্তত দু’ কাপ চিনিহীন গ্রিন টি পান করুন৷ যাঁদের মুখে গ্রিন টি রোচে না একেবারেই, তাঁরা দুই থেকে তিন টেবিলচামচ ধনে শুকনো তাওয়ায় সেঁকে নিন৷ তারপর গুঁড়ো করে নিতে হবে৷ এক কাপ জলের সঙ্গে এক চাচামচ ধনের গুঁড়ো ফুটিয়ে, ছেঁকে জলটা পান করলেও চলবে৷
রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন ভিটামিন সিভিটামিন সি হচ্ছে অ্যান্টিঅক্সিডান্ট৷ তা রক্তে উপস্থিত ‘বন্ধু’ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে ও ‘শত্রু’ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে৷ তাই রোজের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি থাকা আবশ্যক৷ দিনে তিন গ্লাস পরিমাণ তাজা অরেঞ্জ জ্যুস পান করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, এমনটা অনেকেই মনে করেন৷ কমলালেবু তো বটেই, মুসম্বি, বাতাবি বা পাতিলেবুতেও প্রচুর ভিটামিন সি মিলবে, তা ছাড়া পেঁপে, কিউয়ি, পেয়ারা ইত্যাদি ফলও রোজ খাওয়া ভালো৷
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ানম্যাকরেল, টুনা, সার্ডিন, স্যামনের মতো মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে৷ আপনার পছন্দের অন্য কোনও সামুদ্রিক মাছও খেতে পারেন৷ তা ছাড়া তিসি বা ফ্ল্যাক্সসিডে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে৷ সরাসরি দু’-এক চামচ তিসি খেতে পারেন, একান্ত সম্ভব না হলে তিসি গুঁড়ো করে খান৷ স্যালাড ইত্যাদিতে তিসির তেলও ব্যবহার করা যায়৷
রসুন আর দারচিনি খান নিয়ম করেপ্রতিদিনের রান্নায় দুই থেকে তিনটি রসুন ব্যবহার করলে রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা৷ সকালের কফিতে ব্যবহার করুন এক চিমটে দারচিনির গুঁড়ো৷ প্রাতরাশে ওটমিল খান রোজ? পরিজ তৈরির সময় খানিকটা দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন, স্বাদে-গন্ধে মন ভরে যাবে৷ হট চকোলেটেও সামান্য দারচিনি মিশিয়ে খেয়ে দেখুন, দারুণ ভালো লাগবে৷
পান করুন ওয়াইন বা ড্রট বিয়ারঅন্য কোনও মদের চেয়ে ওয়াইন বা ড্রট বিয়ার পান করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, এ কথা পরীক্ষিত ও প্রমাণিত৷ বিশেষ করে রেড ওয়াইনের সোপোনিন রক্তে শত্রু কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে নাকি দারুণ কার্যকর৷ তবে তাই বলে মাত্রাছাড়া মদ্যপান কোনও কাজের কথা নয়৷ মদ্যপান ও ধূমপান দুটোই আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক৷
ব্যায়াম করুন, স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখুন
যাঁরা নিয়ম করে শরীরচর্চায় প্রতিদিন খানিক সময় ব্যয় করেন, তাঁদের রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে ও স্ট্রেস কমে এ কথা পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে৷ পেটের চারপাশে জমে থাকা ফ্যাট কমানোর চেষ্টা করলেই ফারাকটা বুঝতে পারবেন আপনিও৷
গ্রিন টি পান করুন নিয়মিতপরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, চিনিছাড়া গ্রিন টি হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন তৈরির প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করতে পারে৷ এই ‘ভালো’ বা ‘বন্ধু’ কোলেস্টেরল স্বাস্থ্যরক্ষায় একান্ত কার্যকর, তাই দিনে অন্তত দু’ কাপ চিনিহীন গ্রিন টি পান করুন৷ যাঁদের মুখে গ্রিন টি রোচে না একেবারেই, তাঁরা দুই থেকে তিন টেবিলচামচ ধনে শুকনো তাওয়ায় সেঁকে নিন৷ তারপর গুঁড়ো করে নিতে হবে৷ এক কাপ জলের সঙ্গে এক চাচামচ ধনের গুঁড়ো ফুটিয়ে, ছেঁকে জলটা পান করলেও চলবে৷
রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন ভিটামিন সিভিটামিন সি হচ্ছে অ্যান্টিঅক্সিডান্ট৷ তা রক্তে উপস্থিত ‘বন্ধু’ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে ও ‘শত্রু’ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে৷ তাই রোজের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি থাকা আবশ্যক৷ দিনে তিন গ্লাস পরিমাণ তাজা অরেঞ্জ জ্যুস পান করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, এমনটা অনেকেই মনে করেন৷ কমলালেবু তো বটেই, মুসম্বি, বাতাবি বা পাতিলেবুতেও প্রচুর ভিটামিন সি মিলবে, তা ছাড়া পেঁপে, কিউয়ি, পেয়ারা ইত্যাদি ফলও রোজ খাওয়া ভালো৷
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ানম্যাকরেল, টুনা, সার্ডিন, স্যামনের মতো মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে৷ আপনার পছন্দের অন্য কোনও সামুদ্রিক মাছও খেতে পারেন৷ তা ছাড়া তিসি বা ফ্ল্যাক্সসিডে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে৷ সরাসরি দু’-এক চামচ তিসি খেতে পারেন, একান্ত সম্ভব না হলে তিসি গুঁড়ো করে খান৷ স্যালাড ইত্যাদিতে তিসির তেলও ব্যবহার করা যায়৷
রসুন আর দারচিনি খান নিয়ম করেপ্রতিদিনের রান্নায় দুই থেকে তিনটি রসুন ব্যবহার করলে রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা৷ সকালের কফিতে ব্যবহার করুন এক চিমটে দারচিনির গুঁড়ো৷ প্রাতরাশে ওটমিল খান রোজ? পরিজ তৈরির সময় খানিকটা দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন, স্বাদে-গন্ধে মন ভরে যাবে৷ হট চকোলেটেও সামান্য দারচিনি মিশিয়ে খেয়ে দেখুন, দারুণ ভালো লাগবে৷
পান করুন ওয়াইন বা ড্রট বিয়ারঅন্য কোনও মদের চেয়ে ওয়াইন বা ড্রট বিয়ার পান করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, এ কথা পরীক্ষিত ও প্রমাণিত৷ বিশেষ করে রেড ওয়াইনের সোপোনিন রক্তে শত্রু কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে নাকি দারুণ কার্যকর৷ তবে তাই বলে মাত্রাছাড়া মদ্যপান কোনও কাজের কথা নয়৷ মদ্যপান ও ধূমপান দুটোই আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক৷
ব্যায়াম করুন, স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখুন
যাঁরা নিয়ম করে শরীরচর্চায় প্রতিদিন খানিক সময় ব্যয় করেন, তাঁদের রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে ও স্ট্রেস কমে এ কথা পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে৷ পেটের চারপাশে জমে থাকা ফ্যাট কমানোর চেষ্টা করলেই ফারাকটা বুঝতে পারবেন আপনিও৷
COMMENTS