সুস্থ-স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দেওয়া প্রত্যেক মা-বাবারই স্বপ্ন। কিন্তু এই জিনিসটির প্রভাব পড়লে শিশুর শারীরিক ও মানসিক দুই ক্ষতিই হতে পারে। ...
সুস্থ-স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দেওয়া
প্রত্যেক মা-বাবারই স্বপ্ন। কিন্তু এই জিনিসটির প্রভাব পড়লে শিশুর শারীরিক
ও মানসিক দুই ক্ষতিই হতে পারে।
শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ কতটা হবে তা নির্ভর
করে বাতাসে দূষণের মাত্রার উপরে। নতুন এক গবেষণা থেকে এমনই তথ্য উঠে এল।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘জার্নাল অফ
পেডিয়াট্রিকস’-এ এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।
এই গবেষণাতে উঠে এসেছে, প্রসূতি অবস্থায়
কোনও মহিলা দূষণের শিকার হলে, তার প্রভাব সরাসরি পড়ে গর্ভে থাকা শিশুর
উপরে। মাতৃগর্ভে থাকাকালীন, দূষিত বাতাস মার শরীরে ঢুকলে শিশুর মানসিক
বিকাশ তুলনামূলক ভাবে কম হয়। এ ছাড়া, শিশু কিছু শারীরিক ত্রুটি নিয়েও
জন্মাতে পারে। ক্লেফট লিপ বা ঠোঁটের বিকৃত আকৃতি, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি
নিয়েই শিশুর জন্ম হতে পারে।
বাতাসে দূষণ শিশুদের বিকাশের উপরে কী
প্রভাব ফেলে— এর উপরে গবেষণাটি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সুরক্ষা
সংস্থা। গবেষণাটি থেকে উঠে এসেছে এই তথ্য।
শুধু বুদ্ধির বিকাশে ব্যাঘাত বা শারীরিক
ত্রুটি নয়, প্রসূতি মা দূষিত পরিবেশের মধ্যে থাকলে, জন্মের পরে তাঁর শিশুর
মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
গবেষণা থেকে এমন জানা গেলেও, দিনের পরে
দিন বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়ছে। তাই অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন মহিলাদের
দূষণমুক্ত পরিবেশে থাকা উচিত বলে পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।
বাড়ির ভিতরে থাকলেই যে দূষণমুক্ত থাকা
যাবে, তা নয়। যেভাবে দূষণের মাত্রা বাড়ছে, তাতে বাড়ির ভিতরেও দূষিত
বাতাসের অস্তিত্ব থাকে। তাই বাড়িতেও অন্তঃসত্ত্বা মহিলা থাকলে নিয়মিত ঘর
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।
COMMENTS