প্রারম্ভিক গর্ভাবস্থায়ঃ যদিও কোন ফল খাওয়ার আগে গর্ভবতী মহিলারা দুইবার ভাবেন। যেহেতু অনেকগুলি ফলই যেমন পেঁপে, গর্ভাবস্থার জন্য ক্ষতিকারক।...
প্রারম্ভিক গর্ভাবস্থায়ঃ যদিও কোন ফল খাওয়ার আগে গর্ভবতী মহিলারা
দুইবার ভাবেন। যেহেতু অনেকগুলি ফলই যেমন পেঁপে, গর্ভাবস্থার জন্য
ক্ষতিকারক। প্রতিটা ফল নিয়েই কিছু না কিছু চিন্তার রয়েছে। আসুন দেকে নেওয়া
যাক গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার কি কি উপকারিতা রয়েছে।
পেয়ারা সম্পর্কে বলতে গেলে, প্রথমেই বলতে হয় গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়া খুবই
উপকারী। যদিও, গর্ভাবস্থায় যে কোন ফলই পরিমিত পরিমানে খাওয়া উচিৎ।
গর্ভাবস্থায়, যে কোন ফলই অতিরিক্ত পরিমানে খেলে তা ক্ষতিকারক হতে পারে।
পগর্ভাবস্থায় পেয়ারার উপকারিতাঃ নির্দিষ্ট পরিমানে পেয়ারা খাওয়া খুবউ
উপকারী কারণ পেয়ারা, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি তে সমৃদ্ধ। আয় বোল্ডস্কাই
আপনাদের সাথে গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার কিছু উপকারীতা শেয়ার করে নেবে।
ইমিউনিটি বা অনাক্রম্যাতার উন্নতি ঘটায়ঃ অনাক্রম্যতা, গর্ভবতী মহিলাদের
জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু এটা তাকে বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে
সাহায্য করে। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে, যা অনাক্রম্যাতাকে
উনত ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
সর্বাধিক পুষ্টিকরঃ
একজন গর্ভবতী মহিলাকে তার ভ্রূণের খাবারেরো যোগান দিতে হয়, তাই স্বাভাবিকের
তুলনায় তার বেশি পরিমানে পুষ্টির প্রয়োজন। তাকে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার
খেতে হবে। পেয়ারা তার সবরকম পুষ্টির প্রয়োজন পূর্ণ করতে পারে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ
গর্ভবতী মহিলারা বেশি উচ্চ রক্তচাপ প্রবণ হয়ে থাকেন। এটি গর্ভাবস্থায়
জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভবতী মহিলারা যদি রোজ একটা পাকা পেয়ারা খান
তবে তা তাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গর্ভবস্থাকালীন
পেয়ারা খাওয়ার এটি অন্যতম একটি মূখ্য উপকারিতা।
শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রঃ
শিশুদের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র তৈরিতে ফলিক অ্যাসিড খুবই প্রয়োজনীয়।
পেয়ারা ফলিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ তাই শিশুদের উপকারের স্বার্থে, গর্ভাবস্থায়
পেয়ারা খাওয়া উচিৎ।
মানিসিক শান্তি আনতেঃ
গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ শরীরে কর্টিসল-এর নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়, যা গর্ভপাতের
ঘটাতে পারে। গর্ভবতী মহিলারা যদি রোজ একটা করে পেয়ারা খান, তবে তা তাদের মন
শান্ত রাখ রাখতে ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করেঃ
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে যা অন্ত্রে বাল্ক-এর সৃষ্টি করে,
মলত্যাগের জন্য উপযক্ত চাপের সৃষ্টি করে। রোজ একটি করে পেয়ারা খেলে, তা
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক রাখেঃ
গর্ভাবস্থায়, ব্লাড সুগার একটি সাধারণ চিন্তার কারণ, এই সময়ে একে
জেস্টেশনাল ব্লাড সগার বলে। এটি গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের সময় নানা রকমের
জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় রোজ একটি করে পেয়ারা খেলে তা ব্লাড
সুগার লেভেল ঠিক রাখে ও মধুমেহ রোগ থেকে বিরত রাখে।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়ঃ
পেয়ারা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ, এটি মা ও শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে ও দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়। এটি পেয়ারা খাওয়ার অন্যতম একটি উপকারিতা।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়ঃ
গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে স্তন-ক্যান্সারের প্রবণতা দেখা যায়।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল যেমন পেয়ারা খেলে, তা গর্ভবতী মহিলাদের
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
হজমের সাহায্যেঃ
গর্ভবতী মহিলারা সাধারণত, পেট খারাপ বা অ্যাসিডিটিতে ভুগে থাকেন।
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে পেয়ারা খেলে অন্ত্রিয় প্রতিবাহে আরাম দেয় ও হজমের
প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বা অনাক্রম্যাতার উন্নতি ঘটায়ঃ
অনাক্রম্যতা, গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু এটা তাকে
বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমানে
ভিটামিন সি রয়েছে, যা অনাক্রম্যাতাকে উনত ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
COMMENTS