সাধারণত মা যখন প্রথম তিনমাসে প্রচুর বমি নিয়ে আমাদের কাছে আসে এবং মাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যদি সন্দেহ হয় মায়ের গর্ভে একাধিক সন্তান আছে তখন ...
সাধারণত মা যখন প্রথম তিনমাসে প্রচুর বমি নিয়ে আমাদের কাছে আসে এবং মাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যদি সন্দেহ হয় মায়ের গর্ভে একাধিক সন্তান আছে তখন মাকে আমরা আলট্রসনোগ্রাম করি। আলট্রাসনোগ্রাম করার উদ্দেশ্য হলো মায়ের গর্ভে কয়টি সন্তান আছে তা নিশ্চিত হওয়া।
পরবর্তীতে পাঁচ মাসের সময় গর্ভে থাকা বাচ্চাগুলোর কোন সমস্যা আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মাকে আমরা আরেকটি আলট্রাসনোগ্রাম করি। একই সাথে দুটি সন্তান প্রসব করলে ফুল কখনো দুটি হয় আবার কখনো ফুল একটি হয় কিন্তু বড় হয়। ফলে মায়েরা পুরো গর্ভকালীন সময়েই একটু একটু ব্লিডিং হওয়ার মতো সমস্যা নিয়ে আসে। এই ব্লিডিং কিছুটা ঝামেলার। প্রতিবারই মাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। রক্ত দিতে হয়।
ডেলিভারীর আগে আগে বাচ্চার পজিশন দেখে চিকিৎসকেরা সিন্ধান্ত নেয় বাচ্চাকে নরমাল ডেলিভারীর করানো যাবে কিনা। যদি এমন হয় দুটি সন্তান গর্ভে এবং প্রথম বাচ্চার মাথা নিচের দিকে আছে অর্থাৎ স্বাভাবিক তখন আমরা নরমাল ডেলিভারীর প্রস্তুতি নিই। এ অবস্থায় `এপিডুরাল` পদ্ধতি বা ব্যথামুক্ত প্রসব পদ্ধতিতেও প্রসব করানো সম্ভব। আর যদি দুটো বাচ্চার পজিশন উল্টো হয় বা প্রথম বাচ্চাটার পজিশন উল্টো হয় সেক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারী ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।
যমজ সন্তান প্রসব করেছেন এমন মায়েদের প্রসব পরবর্তী সময়ে রক্তক্ষরণ বেশী হয়। একটি সন্তান প্রসব করলে জরায়ুর যে আকার হয় যমজ সন্তান প্রসব করলে জরায়ুর আকার তার তুলনায় দ্বিগুণ হয়। ফলে ব্লিডিংয়ের পরিমাণটা বেশী হয়।
যমজ সন্তান গর্ভে এলে মায়েরা আরেকটি বড় সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাহলো, হঠাৎ করে পানি ভেঙ্গে যাওয়া। কারণ, গর্ভে একাধিক সন্তান থাকে বিধায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। হঠাৎ পানি ভেঙ্গে গেলে অনেক সময় বাচ্চার নাড়ী বের হয়ে আসে। সেক্ষেত্রে বাচ্চাকে বাঁচানো মুশকিল হয়।
আরেকটি সমস্যা নিয়ে যমজ সন্তান গর্ভে ধারণকারী মায়েরা আমাদের (ডাক্তার) কাছে আসেন। তাহলো নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রসব বেদনা উঠে যাওয়া। আরেকটি কথা না বললেই নয়, যমজ সন্তানগুলোর ওজন বেশীরভাগ সময় অন্যদের চেয়ে কম হয়। অর্থাৎ একটি বাচ্চা প্রসব করলে বাচ্চার যে ওজন থাকে যমজ সন্তানদের ওজন তার চেয়ে কম হয়। এক্ষেত্রে এমনও হতে দেখা যায়, একটি বাচ্চা খুব বড় হয়, অন্য বাচ্চাটি খুব ছোট হয়।
মায়েদেরকে বলব, সন্তান গর্ভে আসার সাথে সাথে নারীরোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার বিকল্প নেই। পাশাপাশি আপনার ডাক্তার আপনাকে যে নির্দেশনা দেয় তা মেনে চলুন। অস্বীকার করার উপায় নেই, যমজ সন্তান গর্ভে থাকাকালীন অবস্থায় ও প্রসবকালীন অবস্থায় অন্য স্বাভাবিক মায়েদের তুলনায় বেশী ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়।
পরবর্তীতে পাঁচ মাসের সময় গর্ভে থাকা বাচ্চাগুলোর কোন সমস্যা আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মাকে আমরা আরেকটি আলট্রাসনোগ্রাম করি। একই সাথে দুটি সন্তান প্রসব করলে ফুল কখনো দুটি হয় আবার কখনো ফুল একটি হয় কিন্তু বড় হয়। ফলে মায়েরা পুরো গর্ভকালীন সময়েই একটু একটু ব্লিডিং হওয়ার মতো সমস্যা নিয়ে আসে। এই ব্লিডিং কিছুটা ঝামেলার। প্রতিবারই মাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। রক্ত দিতে হয়।
ডেলিভারীর আগে আগে বাচ্চার পজিশন দেখে চিকিৎসকেরা সিন্ধান্ত নেয় বাচ্চাকে নরমাল ডেলিভারীর করানো যাবে কিনা। যদি এমন হয় দুটি সন্তান গর্ভে এবং প্রথম বাচ্চার মাথা নিচের দিকে আছে অর্থাৎ স্বাভাবিক তখন আমরা নরমাল ডেলিভারীর প্রস্তুতি নিই। এ অবস্থায় `এপিডুরাল` পদ্ধতি বা ব্যথামুক্ত প্রসব পদ্ধতিতেও প্রসব করানো সম্ভব। আর যদি দুটো বাচ্চার পজিশন উল্টো হয় বা প্রথম বাচ্চাটার পজিশন উল্টো হয় সেক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারী ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।
যমজ সন্তান প্রসব করেছেন এমন মায়েদের প্রসব পরবর্তী সময়ে রক্তক্ষরণ বেশী হয়। একটি সন্তান প্রসব করলে জরায়ুর যে আকার হয় যমজ সন্তান প্রসব করলে জরায়ুর আকার তার তুলনায় দ্বিগুণ হয়। ফলে ব্লিডিংয়ের পরিমাণটা বেশী হয়।
যমজ সন্তান গর্ভে এলে মায়েরা আরেকটি বড় সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাহলো, হঠাৎ করে পানি ভেঙ্গে যাওয়া। কারণ, গর্ভে একাধিক সন্তান থাকে বিধায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। হঠাৎ পানি ভেঙ্গে গেলে অনেক সময় বাচ্চার নাড়ী বের হয়ে আসে। সেক্ষেত্রে বাচ্চাকে বাঁচানো মুশকিল হয়।
আরেকটি সমস্যা নিয়ে যমজ সন্তান গর্ভে ধারণকারী মায়েরা আমাদের (ডাক্তার) কাছে আসেন। তাহলো নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রসব বেদনা উঠে যাওয়া। আরেকটি কথা না বললেই নয়, যমজ সন্তানগুলোর ওজন বেশীরভাগ সময় অন্যদের চেয়ে কম হয়। অর্থাৎ একটি বাচ্চা প্রসব করলে বাচ্চার যে ওজন থাকে যমজ সন্তানদের ওজন তার চেয়ে কম হয়। এক্ষেত্রে এমনও হতে দেখা যায়, একটি বাচ্চা খুব বড় হয়, অন্য বাচ্চাটি খুব ছোট হয়।
মায়েদেরকে বলব, সন্তান গর্ভে আসার সাথে সাথে নারীরোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার বিকল্প নেই। পাশাপাশি আপনার ডাক্তার আপনাকে যে নির্দেশনা দেয় তা মেনে চলুন। অস্বীকার করার উপায় নেই, যমজ সন্তান গর্ভে থাকাকালীন অবস্থায় ও প্রসবকালীন অবস্থায় অন্য স্বাভাবিক মায়েদের তুলনায় বেশী ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়।
COMMENTS